তোর মা মারা যাবে। যা বাড়ি ফিরে যা আর কেউ কখনো তোকে বকাবকি করবে না কোনদিনও না। কথাটা শুনে পাশ ফিরলাম কালো ময়লা আলখেলা পরা এক ফকির ল্যাম্পপোস্টের পাশে চট বিছিয়ে বসে আছে চোখ বন্ধ তার আমি তার ছেলের হাসি হেসে আবার পাশ ফিরলাম।
আজও মায়ের সাথে ঝগড়া করে বের হয়েছি। জীবনটা তেজপাতা করে দিল ভালো লাগে না আর প্যারা। এইটা করবি না ওটা করবি না এইটা কেন করিস এইটা পারিস না কেন সারাদিন বাইরে কি বন্ধুদের সাথে এত কি সারাদিন মোবাইলে কি উফ প্রাইভেসি বলে কিছুই নেই লাইফে সবকিছু ঘাঁটাঘাঁটি। অপছন্দের তরকারি রোজ রান্না করবে।
শাক সবজি করবে ভালো লাগে না তাও রোজ দুধ খেলাবে অসহ্য। হায়ারে স্টাডির জন্য দূরে কোথাও চলে যেতে পারলে ভালো হতো। একটু ফ্রিডম পেতাম না তাও দিবে না। এখানেই পড়ো। লোকটা চোখ বন্ধ অবস্থায় আবার বলল। কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
তাহলে বলি তোরা দুই বোন এক ভাই বোনেদের বিয়ে হয়ে গেছে বাপ চাকরি করে এখনও তুই পড়ালেখা করস। আর তোর পকেটে মাত্র 100 আছে। মোবাইলে ও চার্জ নেই। একটু পর ফিরে যাবি তাও বলছি ফিরে যা। শেষবেলায় মায়ের কাছে থাকতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।
আর কেউ তোরে বকাবকি করবে না কাল থেকে।আমি বিরক্ত হয়ে ওনাকে টাকা দিয়ে উঠে গেলাম। উনি উচ্চস্বরে হেসে উঠল কিছুদূর গিয়ে আবার পেছন ফিরে দেখতে দেখি উনি নেই। বুকটা ধূপ করে উঠল ভয় জমলো বাড়ির দিকে ছুটলাম বাড়ির কাছাকাছি যেতে দেখি মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠার আগে দেখি মার দরজা খুলে দিয়েছে মা এটা রোজই করে বেল দেওয়ার আগেই দরজা খুলে দেয়। কীভাবে বোঝে তাও জানি না। আর জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হল।
কিন্তু করলাম না। রাগ গলে পানি হয়ে গেছে লোকটার কথা তাও একটু ভান ধরলাম। মাস ওকেসের সামনে শাড়ি কোমরে জড়ানো অবস্থা থেকে আঁচলটা নিয়ে প্লেট মুছতে মুছতে বলছে।কোনও বন্ধু জায়গা দিল না। ঠিক তো বাপের হোটেলে ফিরে এলি যা স্নান করে আয় খাবি।
মা ভাবল অন্যদিনের মতো আমিও বলব খাব না তুমি খাও। সারাক্ষণ বন্ধুদের নিয়ে কথা বলবে না। আমি তা না বলে স্যান্ডেল খুলে রাখতে রাখতে বললাম আচ্ছা মা ঠিক আছে তুমি স্নান করেছ করে নাও একসাথে খাবো। মা তাকিয়ে আছে। মনটা এখন হালকা লাগছে। শুধু শুধু ভয় পেয়েছি গায়ে পানি ঢালতে ঢালতে চিন্তা করছিলাম। লোকটা হঠাৎ এমন কিছু কেন বলল ধুর কীসব চিন্তা করছি ফালতু চিন্তা কিন্তু লোকটা উদাহ হলো কিভাবে?
লাল রঙের বড় বালতি থেকে আঁচলে নেয়ার নীল রঙের মগ দিয়ে গায়ে পানি ঢালতে ঢালতে ভাবছিলাম।
আবার চিন্তা করলাম ধুর এইসব কিছু না আসলে আমি এটা চিন্তাও করতে পারছিলাম না। তখন রান্নাঘরে কি যেন পড়ার আওয়াজ হল হুম রেখে গায়ে কোনমতে গান ছাড়া জড়িয়ে বের হয়ে এলাম। তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে গেলাম। মা বাড়িতে তরকারি বাড়ছে।
আমাকে দেখে চিৎকার করে উঠল।এত বড় ছেলে হয়েছে গা নাম হচ্ছে বের হয়েছিস। বাথরুম থেকে পুরোটা ঘর ভিজিয়ে ফেলল তোকে না বলেছি গামছা পরে ঘুরবি না বসতে ছেলের মতো লাগছে তোকে অমনিতেই তো বস্তির ছেলে তিন দিনে স্নান করিস গায়ের সাবান কখন মেখেছিস মনে আছে।কী হয়েছিল আওয়াজ হল কেন?
মাম ভুরু কুঁচকে তাকাল কী হবে?
আওয়াজ শুনলাম যে। হারের ঢাকনাটা পড়ে গিয়েছিল। এমনি তো ডাকলে কানে ঢুকে না আওয়াজ শুনে বের হয়ে গেলি যা তাড়াতাড়ি কাপড় পরে আয় ছোটবেলার মতো না হয় গামছা খুলে যাবে।
আর দাঁড়িয়ে লাভ নেই। কাপড় পরে খেতে বসলাম। আজ আমার পছন্দের শুটকি দিয়ে ডিমের ভুনা আহ এই যেন অমৃত। আচ্ছা ওনার কথা যদি সত্যি হয় হচ্ছে মুখ গলে এখন ভেটকিয়ে কান্না করে দেব বাচ্চাদের মতো।মা উঠে এসে পিট চাপড়ে দিচ্ছে তাড়াতাড়ি চিনি এনে দিল রান্নাঘর থেকে কিরে বাবা বেশি ঝাল লাগছে।
মরিস তো দেইনি এত মা।পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে। আমি মাকে জড়িয়ে ধরতে চাইলাম কিন্তু কোনমতে পানি খেয়ে কান্না থামালাম।না মা কিছু না জিভে কামড় পড়েছিল ও। আচ্ছা সাবদা লেখা মা শাকের সাথে কাঁচামরিচটা ভেঙে মেখে খাচ্ছে।
মায়ের আঁট পড়ে নেতিয়ে যাওয়া শাড়িটা একটু ফ্যানের বাতাসে ঘুরছে চুলগুলো হালকা এলোমেলো মায়ের খাওয়ার দিকে আমি তাকিয়ে আছি।মনে হল যেন মনে গেঁধে নিচ্ছি। আবার চিন্তা সরিয়ে মাথা নাড়ালাম। ভাতটা শেষ করলাম। অন্যদিন মোবাইল টিপে টিপে ভাত খাই মা বকা দিলেও রাখি না।
আজ মায়ের সাথে কথা বললাম সে অনেক কথা বোনদের কথা ভাগ্নিগুলোর কথা বিস্তৃত ভাইয়ের নাকি বিয়ে হচ্ছে মেয়ের বাড়ি নিয়ে মায়ের অনেক কথা মা যেন কথায় কথা বলেই যাচ্ছে। খাওয়া শেষে মায়ের সাথে থালাবাটি গুলো রেখে এলাম।
মাকে পানের বাটা এনে দিলাম। সাথে ওষুধের বাক্সটাও মা যেন আরাম পেল। বহুদিন মাকে কেউ কিছু এগিয়ে দেয় না। আমি রোমে চলে গেলাম বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই আবার উঠে বসলাম। আমি তো ঘুমালে সন্ধ্যার আগে উঠব না। বাবা তো আসবে সন্ধ্যা সাতটায়।
এর মধ্যে যদি কোন এক্সিডেন্ট।ফ্যানটা কয়েকদিন ধরে ক্যাচক্যাচ করছে মিস্টি ডাকতে বলেছিল ভুলে যায় রোজ যদি।না।আমি মায়ের রোমে গেলাম। মা পেপারের সাথে দেওয়ার নকশাটা উল্টাচ্ছে। মায়ের পাশে শুয়ে বললাম কিছু তো বানাও না। শুধু দেখো মা আবার উল্টা তোলটাতে বলল বানিয়ে খাওয়াবো কাকে তুই বাসায় থাকিস।
বন্ধু আড্ডা এইসবে তোর জীবন এখন।তোকে খাওয়াই লাভ নেই। আমার মেয়েরা আসুক তখন খাওয়াব। আজ এখানে কি টাকা পয়সা লাগবে নাকি কাল বিকেলে 100 দিয়েছিলাম না আজ কিন্তু আর পাবি না আমি মায়ের পায়ের দিকে শুয়ে পড়লাম আরে না এমনি শুয়েছি। কেন পারব না?
মা আর কিছু বলল না আমার গায়ের উপর পা একটু তুলে দিল। আমি পায়ের আঙ্গুলগুলো টেনে দিলাম। মা অন্য পাউটাও দিল। ছোটবেলায় এমনটা করতাম খুব মায়ের পানের মিষ্টি সুভাষ আছে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম মোবাইলের ভাইব্রেশনে ঘুম ভাঙল।
ধড়ফড়ে উঠে মাকে দেখলাম মা নেই মা মা কোথায় তুমি রান্নাঘর থেকে বলল, কী হয়েছে এমন চেচাচ্ছিস কেন আছি তো যায়নি কোথাও।ফোন রিসিভ করলাম।দিয়েছে বাইরে যাওয়ার জন্য যাব না। বললাম শরীর ভালো লাগছে না। মায়ের খাটে বসে রইলাম। চিন্তাটা আবার এল।
আচ্ছা আমি যে মামা তুমি কোথায় বলাতে মা উত্তর দিল যখন উত্তরটা আর পাবো না, সারাদিন মামা ডেকেও।কী হবে তখন? না না আবার চোখে জল জমে যাচ্ছে। আমি ভাবতেও পারছি না কেউ উত্তর দিবে না তাও আবার কাল থেকে না কিছুতেই না। হাত মুখ ধুয়ে গিয়ে দেখে মা রান্নাঘরে পিঠা বানাচ্ছে মা কী করছো?
তোকে তো কোনো নাস্তা খাওয়া নিয়ে হয় না। তাই ছিটা পিঠা বানাচ্ছি। গরম গরম খা আমি টেবিলে বসার সাথে সাথে মা ফ্রাই পেন্ট সহ নিয়ে এসে প্লেটে দিল সাথে চিনি দিল। আহা কত মজা।আবার বললাম, পেঁয়াজ মরেছে ময়দা দিয়ে ঝাল পিঠা করতো। আচ্ছা কাল খাওয়াবো। বুকটা আবার মোচড় দিয়ে উঠল কাল যদি না থাকে মা আর কিছু বলতে পারলাম না। মায়ের সাথে ছিলাম । স্কুলকলের সব বন্ধ।
তাই এখন আর পড়তে বসা হয় না। তেমন মায়ের সাথে বসে সন্ধ্যে সিরিয়াল দেখতে লাগলাম কি যে সব কাহিনী সব সিরিয়ালের একই কাহিনী বিরাট বাড়ির সিঁড়ির সামনে যত কাহিনী অনেক আগেও দেখেছি বছর খানিক পরে দেখাতেও কাহিনি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। মায়ের কি বিশাল বিশাল যুক্তি আমি মাথা নেড়ে নেড়ে হাসছি সায় ও দিচ্ছি ।
আচ্ছা মা সারাদিন করবে টাও কি বাবা এখনও আসেনি তো আমি যে রোজ বিকালে বের হই আসে দশটায় একা সময় কাটে কিভাবে মায়ের তাই তো বাসায় থাকলে আমি মোবাইল নিয়ে বসে থাকলে মা চিল্লা চিলি করে। কিছুক্ষণ পর বাবা এল আমি উঠে রুমে গেলাম।
বাবার স্নানে গেল বা রান্নাঘরের চা বানাচ্ছে টুংটাং আওয়াজ হচ্ছে চা পাতার গন্ধ আসছে বাবার সাথে কি নিয়ে যেন কথা শুরু হয়ে গেল বুকটা আবার ভারী হয়ে যাচ্ছে চোখ ও ঝাপসা হচ্ছে যত সময় যাচ্ছে তত যেন ভয়টা জেগে বসছে কিছুতেই ফেলতে পারছি না মাথা থেকে কিন্তু সামান্য সামান্য বিষয়ে কত রাগারাগি করেছি।
অযথা মায়ের সাথে।কখনও সরি বলাও হয়নি। কিছুতেই আজ মন থাকছে না। রোমে আবার বের হয়ে মায়ের কাছে বসলাম। মা চলো লুডু খেলি লুডু কোথায় পাবি এখন সব মোবাইলেই আছে আসো বাবা তুমিও আসো।
তোরা খেল আমি খবর দেখি আমি আর মা শুরু করার পুটু পরেই বাবা এল দারুণ জমে উঠেছে খেলা। মায়ের ভীষণ বুদ্ধি আর বাবাকে গো হারানি হারাচ্ছে মা বাচ্চাদের মতো হাসছে মায়ের মুখটা পুরো লাল হয়ে গেল বাবার সাথে বাজি ধরছে মা।বাবা প্রতিবারই হেরে যাচ্ছে। আবার বলছে তোমাকে জিতিয়ে দিচ্ছি আর কি নিচ্ছি দিয়ে বলছে, আমার কি বুদ্ধি কম?
আমি আছি বলে এখনো এই সংসার টিকে আছে বাবার সাথে মায়ের ঝগড়া লেগে গেল তা মামার বাড়ি অবধি ঘুরে আসে। আমার মনে হচ্ছে আসলেই তো।মা না থাকলে কী হবে সংসারিত আর থাকবে না। বাবা অফিস থেকে এসে কাকে ডাকবে?
বোনেরা কার কাছে আরাম করতে আসবে?
আসবে তো তখন।আমি উঠে বাথরুমে গিয়ে মুখে পানি দিলাম আপ্রাণ চেষ্টা করছি এই চিন্তারা ঝেড়ে ফেলতে রাতে খাওয়ার সময় তিনজন মিলে অনেক কথা হল আবার মা বাবার মিষ্টি ঝগড়া লেগে গেল কেউ কাউকে ছাড়ি দেয় না। অন্যদিন ব্যাপারটা বিরক্তি করে লাগলেও আজ মনে হচ্ছে।থাক না এই ঝগড়া যেন শেষ না হয় অনেক রাত অবধি ঘুম হল না।
সকালের দিকে ঘুমালাম। সকালে মায়ের এক ডাকে উঠে গেলাম। মা বলল কী হয়েছে আজ এত তাড়াতাড়ি চোখ লাল কেন ঘুম হয়নি?
আমি মায়ের কোলে আবার শুয়ে পড়লাম মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। চুলগুলোতে এলোমেলা স্মৃতি কাটছে মেয়েদের মতো উকুনও দেখছে আমি মায়ের হাতটা বুকে নিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। মা বলে ডাক দিলাম।মা বলল কী হয়েছে?
তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো। যেটা তো সবাইকে হবে একদিন। শুধু সময় জানি না আমরা তাই অন্য কাজে লিপ্ত থাকি। আপন মানুষগুলোকে সময় দেওয়া হয় না। আমি আরও জোরে জড়িয়ে ধরলাম। মাকে কিছু বলতে পারছি না। আমি 3 দিন ঘর থেকে বের হলাম না।
মায়ের সাথে ছিলাম সারাক্ষণ মা কিছু করার আগেই চেক করে নিচ্ছিলাম।গ্যাসের লাইন বাথরুম ছাদ মায়ের সাথে সারাদিন গল্প খুনসুটি কোন রাগারাগি নেই। মায়ের বোকাগুলো যেন আরও ভাল লাগছিল। প্রতিবার মনে হচ্ছিল এইটা যেন ভালোবাসা শেষ না হোক এই ভালোবাসা। এখন নিজেকে মায়ের একদম ছোট বাচ্চার মতো লাগছিল। যেমন এখন যদি কেউ বলে এই তোর মা চলে যাচ্ছে, আমি সব খেলা ছেড়েছেরে মাটিতে গড়িয়ে কাঁদবো। শুক্রবার বাবা বাসায় ছিল। তাই আমি বের হলাম।
হাঁটতে হাঁটতে সে জায়গায় গেলাম। লোকটাকে আবার দেখলাম উনাকে গালি দিব নাকি ধন্যবাদ বুঝতে পারছিলাম না। আমাকে ভয় লাগানোর জন্য। আমি কাছে যেতেই উনি হেসে উঠলেন আপনি আমায় মিথ্যা বলছিলেন কেন?
মিথ্যা তো নয় কে কখন মরবে কে জানে যখন মরবে জানিস তখন কত প্রেম ভালোবাসা। এর আগে নিজেরাই তো মাকে কষ্ট দেশ একবারও ভাবিস না এরা না থাকলে তোদের অশৃত কোথায় ছিল।আমি বুঝতে পারলাম ওনার কথা। কিন্তু আবার বাচ্চাদের মতো জিজ্ঞেস করলাম আমার মায়ের কিছু হবে না তো লোকটা আবার উচ্চস্বরে হেসে উঠল কি জানি কার ভাগ্যে কখন মৃত্যু লেখা আছে।তখন বাবার মোবাইল থেকে ফোন এল রিসিভ করতেই বাবা বলে উঠল কোথায় তুই তাড়াতাড়ি আয়।
কী হয়েছে বাবা আর কিছু বলার আগেই বাবা ফোন কেটে দিল লোকটা আবার উচ্চস্বরে হেসে উঠল। আমি ছুটছি প্রাণপণে ছুটছি চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, স্যান্ডেল করে যাচ্ছে। আমি বাড়ির দিকে ছুটছি মায়ের দিকে ছুটছি।
কেউ ছোঁয়ার আগে আমি ছুঁয়ে ফেলব মাকে। প্লিজ মা প্লিজ তুমি ছাড়া ভীষণ অসহায় তোমার ছেলে যেও না কোথাও প্লিজ মা প্লিজ। আমি ছুটছি পথ যেন শেষই হচ্ছে না প্লিজমা আমার লক্ষ্মী মা আমি কখনো কষ্ট দিব না তোমায় প্লিজ যেও না প্লিজ দাঁড়িয়ে থাকো বারান্দায় আমি আসার আগেই দরজা খুলে দাও। প্লিজ মা।