vai bon

ভাই বোনের আস্থির চটি গল্প l শুনলেই হাতের কাজ করতে ইচ্ছে হবে

এই কুত্তা এভাবে আওয়াজ না করি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলি কেন ।  আমি তো তোর ওয়াশরুম টা ইউস করছিলাম নাকি। বাহ বেশ ভালই বড় হয়ে গেছিস।  তুই অনেকদিন পর তোকে এই অবস্থায় দেখলাম ভালই বড় হয়েছিস দেখছি। নোংরা কথা না বলে যা তো এখান থেকে। সমস্যা কি তোর?

তুই আমার ওয়াশরুমে কী করছিস?

দেখতেই পাচ্ছি সে আমার পরনের টাওয়াল আর সবারটা অন করা। তার মানে নিশ্চয়ই আমি কৌশল করছি।  সেটা তো দেখতে পাচ্ছি যে তুই গোসল করছিস। কিন্তু তুই আমার ওয়াশরমে কেন গিয়েছিস?

কেন কী সমস্যা তোর ওয়াশরুমে আসলে কি পাপ হবে নাকি?

পাপ হবে না মানে আলবাদ পাপ হবে তোর কি নিজের রুম নেই নাকি তোর রুমে ওয়াশরুম নেই। আমার রুমও আছে। আর আমার বাথরুম আছে তাও আমি তোর ওয়াশরুমে ইউজ করব। কিন্তু আমি ইউজ করতে দেব না। বের হওয়া আমার ওয়াশরুম থেকে এখনই বের হও বলছি।  লাথি মারব কিন্তু বললাম টাওয়াল পরে আমি কীভাবে বের হব হ্যাঁ। এখানে আমি ছাড়া তো আর কেউ নেই । আর আমি তো তোকে এইভাবে দেখে নিলাম। তাহলে আমার সামনে লজ্জা কিসের আছে তুই যা আমি 10 মিনিটের মধ্যে কাপড় পরে  বের হচ্ছি প্লিজ দিয়ে আমাকে 10 মিনিট  সময় দে । আচ্ছা ঠিক আছে যা দিলাম তোকে 10 মিনিট তাড়াতাড়ি বের হও আমি গোসল করব । তোর ইচ্ছে হলে কিন্তু তুই আমার সাথে গোসল করতে পারিস।

ও আচ্ছা তাই নাকি তাহলে দাঁড়া আসছি আমি। এই কথা বলে স্বামী দ্রুত পায়ে হেঁটে আবারও ওয়াশরুমের দরজার কাছে যেতে লাগল। স্বামীকে এভাবে আসতে দেখে সূচি তাড়াতাড়ি দরজার সিট কানে লাগিয়ে দিল। ওপাশ থেকে স্বামী বারবার দরজা খোলার জন্য বলতে লাগল। এদিকে  হাসতে হাসতে বলল যে সে দরজা খুলবে না।

  সূচি আর স্বামী হচ্ছে একে অপরের চাচাতো ভাই বোন। ছোটবেলায় স্বামীর বাবা মা দুজনেই  কার এক্সিডেন্টে মারা গেছিল। তারপর থেকেই সুচির বাবা মা স্বামীর সব দায়িত্ব নিয়েছিল। স্বামীর পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব রকম দায়িত্ব সব সময়ই সুচির বাবা মা পালন করেছে। কিছুদিন আগে যখন সূচীর জন্য  সম্বন্ধ এসেছিল তখন স্বামী নিজে থেকেই তার চাচা চাচিকে সূচীকে ভাল লাগার কথাটা বলে দিয়েছিল। 

প্রথম প্রথম সবাই একটু ঝামেলা করলেও পরবর্তীতে সবাই সূচি আর স্বামীর সম্পর্কটা মেনে নেয়।  তখন থেকেই কথা হচ্ছে।ওদেরকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। তাই এখন সূচি আর স্বামীর সম্পর্কে এরকম দুষ্টুমি লেগেই থাকে। গোসল শেষ করে সূচি যখন দরজা খুলে বের হল তখন স্বামী তাড়াহুড়ো করে আবারও সূচিকে ওয়াশরুমের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিল । তারপর সুচিকে বলল, এতবার করে ডাকলাম তুই দরজা কেন খুললি না। দরজা খুলে কি করতি তুই তাকে আমি জানি না ভেবেছিস। তাতে কী হয়েছে?

আমি শুধু তোর সাথে একসাথে গোসল করতাম। আর মাঝে মাঝে একটু দুষ্টুমি করলে না হয় করতাম। শোন এখান থেকে এত কিসের তারা তোর বাবা তো বলেছে কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেবে। বিয়ের পর যত ইচ্ছে একসাথে গোসল করিস। বিয়ের পর কি খালি একসাথে গোসল করব?

বিয়ের পর তো বারবার তোকে গোসল করার অবস্থায় নিয়ে যাব। ইস। কি নোংরা তুই কি সব কথা বলিস মুখে কি কিছুই আটকায় না।অন্ততপক্ষে তোর সামনে তো আমার মুখে কিছুই আটকায় না কেন?

কেন আমার সামনে অবশ্যই মুখে লাগাম দিবি । তোর সামনে কোন কথা আটকে রেখে বা মুখে লাগাম দিয়ে কোনও লাভ নেই আমার উল্টো এটা আরও ক্ষতি ক্ষতি কিভাবে?

কারণ তোর সামনে যদি আমি আমাকে সম্পূর্ণভাবে এক্সপ্রেস করতে না পারি তাহলে তো তুই আমাকে ভালবেসে আনন্দ পাবে না। কি বললি ভালোবেসে আনন্দ পাব না মানে । শোন প্রতিবার মিলনের সময় তোকে এটা মন থেকে ফিল করাবো যে আমি তোকে ভালবাসি আর আমার এরকম বেলাগাম কথাবার্তাতেই তুই তো বুঝতে পারবে যে তোর প্রতি আমার ভালোবাসাটা ঠিক কতটা গভীর । তাই না বেশি পেকে গেছিস তুই যাকে ভালবাসা হয় তার সামনে লজ্জা রাখতে নেই তাকে শুধু ভালবাসতে হয় । হ্যাঁ, হ্যাঁ বুঝলাম এখন আমাকে চেতে নেই। ছাড়  আমাকে কোন কিছু না করে ছাড়ার জন্য কি ধরেছি নাকি?

এই ভালো হচ্ছে না । কিন্তু বলে রাখলাম।কী হচ্ছে জানি না  । কিন্তু এটা জানি যে আজকে তো ঠোঁটের মিষ্টি না পেলে আমার দিনটা ভাল যাবে না।শামীম প্লিজ এখান থেকে পেয়ে হই। তারপর দিই।তোকে আমি চিনি না ভেবেছিস এখান থেকে বেরোলেই তুই এক দৌড়ে পালিয়ে যাবি। তখন আমার মিষ্টি পাওয়া হবে না।না না সত্যি বলছি আজকে মিষ্টি দিব।এত কথার দরকার নেই। আমি নিজের মিষ্টি নিজেই নিয়ে খেতে পারি । এই কথা বলে স্বামী সূচীর ঠোঁটে  কিস করে দিল। সূচি প্রথমে স্বামীর পিঠে হাত দিয়ে চরকিল দিয়েছিল। কিন্তু পরে নিজেই স্বামীকে আরও কাছে টেনে নিল স্বামী সূচীকে আরও কাছে টেনে নিয়ে সূচির ঠোঁটে ঘাড়ে গলায় কিস করতে লাগল?

এতে সূচি আরও বেশি করে স্বামীর স্পর্শ পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠতে লাগল । এমন সময় বাইরে থেকে সূচির মা সূচির নাম ধরে ডেকে উঠল সূচীর মায়ের গলার আওয়াজ পেতে সূচি আর স্বামী দুজনে চমকে গেল। তারপর একে অপরকে ছেড়ে দিয়ে স্বামী চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল । আর সচিব ওর মায়ের কথার জবাব দিতে লাগল । সূচি এই সূচী কতক্ষণ লাগে তোর গোসল করতে?

এই তোমার হয়ে গেছে আসছি আমি । তাড়াতাড়ি বের হও । এই স্বামীটা যে এসে কোথায় গেল এখনও ভাত খায়নি ছেলেটা। চিন্তা করো না মা ওর যা খাওয়ার ও তা খেয়ে নিয়েছে । কী যে বলিস তুই তোর কথার আদি অন্ত খুঁজে পাই না আমি বাদ দাও তুমি বুঝবে না মা।তোদের এসব আজগপি কথাবার্তা বোঝার দরকারও নেই। আমার যেটা বললাম সেটা কর তাড়াতাড়ি বের হয়ে এসে স্বামীকে ভাত দেই।

ঠিক আছে   তারপর সূচীর মা চলে গেল এবার স্বামী সূচিকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে নিল। এদিকে সূচি  বেরোনোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু স্বামী সেদিকে পাত্তা না দিয়ে সূচির ঠোঁটে আবারও ঠোঁট লাগিয়ে দিল । সূচি এবার স্বামীকে নিষেধ করল না। কারণ সুচি জানে ও যতই মানা করুক স্বামী ওকে এখন ছাড়বে না। তাই সূচী নিজেও স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে লাগল। একটু পর সূচী ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে গেল। আর স্বামী গোসল করতে লাগল । সূচি বেড়ে গিয়ে স্বামীর জন্য ভাত বেড়ে দিল । তারপর সূচি আর স্বামী একসাথে বসে। দুপুরে ভাত খেয়ে নিল।

কয়েকদিন পরে সুচির বাবা ওদের কিছু আত্মীয়স্বজনদের ডেকে একসাথে বসে সূচি আর স্বামীর বিয়ের দিন ঠিক করল। বিয়ের জন্য সবাই যখন শপিং করতে গেল তখন সূচি আর স্বামী দুজনের শপিং মলের ওপর তলায় আলাদাভাবে শপিং করতে গেল সাদা রঙের  শার্ট দেখে সূচি স্বামীকে বলল। এই স্বামী দেখো তো এই সারটা সুন্দর না। সোচে আমরা এখানে বিয়ের শপিং করতে এসেছি। তাই পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানের সেট দেখ। তাতে কি হচ্ছে পানশাবি বা শেরওয়ানি তো বাবা মায়ের পছন্দ করে কিনে নেবে তুই আর আমি না হয় একটু আলাদা ভাবে শপিং করলাম।

বাবা তথ্য দেখছি অনেক শখ। আচ্ছা ঠিক আছে এই  সত্যিই সুন্দর । সত্যিই তোর পছন্দ হয়েছে।তোর পছন্দ অলেজ অনেক সুন্দর তাই আমার পছন্দ না হয়ে উপায় নেই । তার মানে তুই কী বলতে চাইছিস তুই খুব ভালো আর খুব সুন্দর । অবশ্যই আমি ভাল ছেলে । কত যে ভালো ছেলে চানা আছে আমার এখনই তো একটু ট্রাই করো। রুম থেকে পড়ে আয়ত । তারপর স্বামী স্বার্থা নিয়ে চলে গেল ট্রায়াল রুমে ট্রাই করতে আর সূচি স্বামীকে বাসঘরে উপহার দেওয়ার জন্য  স্পেশাল গিফট খুঁজতে লাগল।  অবশেষে স্বামী সাদা  পড়ে সুচির সামনে আসল সূচী। স্বামীকে দেখে অনেক খুশি হল।

তারপর স্বামীর সূচীর জন্য  শাড়ি কিনে নিল। এছাড়াও ওরা সবাই মিলে বিয়ের জন্য অনেক অনেক শপিং করল। তারপর সবাই মিলে বাসায় গেল। বাসে যাওয়ার পর স্বামী ক্লান্ত হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। স্বামী ওভাবেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে সূচিকে ডাকতে লাগল। সূচি এই সূচি কোথায়?

তুই একটু এদিকে আয়ত।তোর কি হল রে এভাবে চাচাচ্ছিস কেন?

আর কয়েকদিন পর আমি তো স্বামী হব। আমাকে একটু তো সম্মান দিতে পারিস নাকি। কাকির সম্মান করব তোকে সম্মান করব আমি স্বপ্নে দেখ। হ্যাঁ স্বপ্নই তো শুধু সম্মান নয়, কত কিছুই দেখি।এখন এসব না বলে কিসের জন্য ডাকলে সেটা বলা গে। আমি ডেকেছি  দরকারে। হ্যাঁ তো সেই দরকারটা কি সেটা তো বল। আমার খুব মাথা ব্যথা করছে রে একটু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আর আমার মাথার চুলগুলো টেনে দেয়। আমি একটু ঘুমাব । এখন দিতে হবে । কেন এখন কি তুই ব্যস্ত?

তেমন ব্যস্ত না ।  তবে বিয়ের শাড়িগুলো একটু গায়ে চড়িয়ে দেখছিলাম বাদে তুই আমার কোলে মাথা রাখ। আমি তোর মাথায় হাত গুলিয়ে দিচ্ছি । ঠিক আছে । তারপর শচে গিয়ে স্বামীর বিছানার উপর উঠে বসল। আর স্বামী গিয়ে সূচীর কোলে মাথা রাখল। সূচী আস্তে আস্তে স্বামীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। স্বামী সূচীর কোলে মাথায় রেখে সূচীর কোমর জড়িয়ে ধরে শুয়ে ঘুমাতে লাগল। এভাবেই দুজনের মধ্যেআন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হতে হতে ওদের বেশ কিছুদিন কেটে গেল।

দেখতে দেখতে চলে আসলো ওদের বিয়ের দিন বিয়েটা খুব স্বাভাবিক আর নরমাল ভাবে হয়ে গেল বিয়ের দিন রাতে বাসুঘরে সূচী বসে। স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছিল যথাসময়ে স্বামী বরবেশে বাস ঘরে ঢুকল স্বামী বাসরঘরে এসে সূচির সামনে গিয়ে সূচিকে বলল।কি ম্যাডাম কেমন লাগছে?

কেমন আবার লাগবে তেমন লাগার কথা তেমনি লাগছে।কেমন লাগার কথা সেটা তো বললি না।সত্যি বলতে তোকে বিয়ে করতে পেরে আমার মজা লাগছে । কেন কেন মজা লাগার কি হল এখানে কারণ । ছোট থেকে আমি তো আশেপাশে ঘুরেছি কিন্তু তোকে এভাবে পেয়ে যাব ভাবিনি । তাই মজা লাগছে ও আচ্ছা তাই না । তাহলে আজকে মজা বোঝাই । তুই কিসের মজা পোছা পেরে আজকে আমি তোকে মচা বোঝাবো এই এমন গন্ডি আচরণ করিস না তো কাছে আয় কাছে তো আসবই আজ আসব না তো আর কবে আসব ।

তারপর সূচি স্বামীর কাছাকাছি। গেল গিয়ে স্বামীর ঠোঁট  দখল করে নিল কেন যেন আজকে স্বামীর ঠোঁট  ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। সুচের স্বামী ও সুচিকে কাছে টেনে নিল স্বামী আস্তে আস্তে সূচির পিঠে আর কোমরে হাত বোলাতে লাগল। তারপর একটানে সূচীর শাড়িটা খুলে নিল স্বামী। আস্তে আস্তে ওরা হারিয়ে গেল ভালবাসা রাজ্যে।

পরের দিন সকালবেলা সূচীর ঘুম ভাঙল আগে।ঘুম ভাঙার পর সূচি খেয়াল করল ওর বুকে ভারী কিছু অনুভব হচ্ছে।  লাইট অফ থাকায় কিছু দেখতেও পাচ্ছে না শোচে তারপর ওর মনে পড়ল গতকাল রাতের কথা সুচি বুঝতে পারল যে ওর বুকে স্বামী শুয়ে আছে। খেয়াল করতেই সচিব লজ্জাই মিয়ে গেল। তারপর ওর বুকের ওপরে রাখা স্বামীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল শচী। এমন সময় হুট করে স্বামী বলে উঠল। কী ব্যাপার কাহিনি কে আবারও মাথায় হাত বলাচ্ছিস রাতের কথা ভুলে গেছিস বুঝি ।

ভুলে যাবো কী করে আমি চেয়েছিলাম তোকে মজা দেখাতে তুই উল্টে আমাকে মজা দেখিয়ে দিলি । বলেছিলাম না আমাকে দেখে তোকে ভয় পেতে হবে। এখন কেমন লাগছে বল ব্যাথায় নড়তে পারছি না ।  আমি জীবনে বহুৎ ফাজিল দেখেছি তোর মতো ফাজিল দেখে নি রে এসোছি খবরদার তুই তো কারি করবি না এখন কিন্তু আমি তো স্বামী। আরে হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে আমার কিন্তু এতদিনের অভ্যেস তুই থেকে তুলতে নামতে তুই একটু দেরী লাগবেই তাই না?

হ্যাঁ, তা ঠিক বলেছিস। কিন্তু এখন থেকে চেষ্টা করবে সব সময় আমাকে তুমি বলে ডাকার ঠিক আছে।অবশ্যই চেষ্টা করব। এখন তুই আমার বুক থেকে ওঠাবি। আবার তুই বলেছিস।না মানে এখন তুমি আগে আমার বুক থেকে ওঠো। আমি কৌশল করব তুই একাউন্টে গোসলখানা পর্যন্ত যেতে পারবে আবার একা একা গোসল করতে পারবে আরেকবার। পারব পারব তুই মানে মানে তুমি সরোত।তুই যদি চাষ আমি কিন্তু তোকে কোলে করে নিয়ে যেতে পারি। আবার গোসলও করে দিতে পারে তুমি গোসল করেতে নিয়ে গেলে যে সেখানে গোসল হবেই নাকি হবে না সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।কি আর হবে না হয় একটু দুষ্টুমি হবে নিজের স্বামীর সাথে দুষ্টুমি করবে না তো কার সাথে করবি শুনি।

এই এখন একদম কোনও দুষ্টুমি নয় । আমাকে এখন আগে কৌশল করতে হবে তোকে কি করতে হবে সেটা আমি ভাল করে জানি চল আমার সাথে ।  এ কথা বলে স্বামী বিছানা থেকে নিচে নামল। তারপর সুচিকে কোলে করে উঠিয়ে নিল নিয়ে গোসলখানার দিকে চলে গেল। গোসলখানা গিয়ে স্বামী সূচীর সাথে দুষ্টুমি শুরু করে দিল । প্রায় 1 ঘণ্টা সময় ধরে ওরা দুষ্টুমি করে গোসল করল।তারপর আবার স্বামীর সূচীকে কোলে তুলে নিয়ে গেল রুমে। তারপর সূচি আলমারি থেকে কয়েকটা শাড়ি বের করল। শাড়ি বের করে সূচী বুঝতে পারছিল না যে কোন শাড়িটা আজকে পড়লে ভাল হবে।এজন্য সূচি স্বামীকে জিজ্ঞেস করল, এই শোনো দেখো তো এই সবগুলো শাড়ির মধ্যে থেকে কোন শাড়িটা পরলে আজকে ভালো লাগবে ।

আজকে তো বিয়ের পরের দিন আজকে লাল রঙের মধ্যে কিছু পরো । এই তুমি আমাকে তুমি বললে আহ শুনতে কত সুন্দর লাগল ।  এখন থেকে তুমিও আমাকে তুমি বলবে বুঝতে পেরেছ।আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে আমিও না হয় তুমি বলেই ডাকব এখন এই নাও এই শাড়িটা পরে ফেলো । এমনভাবে বলছ যেন শাড়ি পরা মানে দুধ ভাত খাওয়া শাড়ি পরা  বুঝেছো সেটা সবাই পারে না । তুই তো পারিস তাহলে তুই পরে ফেল বললাম না শাড়ি পরা  আই যা সবাই পারে না । এমনকি আমি নিজেই পারি না । এই তুই মেয়ে নাকি অন্য কিছু এখনও শাড়িটা পড়তে পারিস না । আমি মেয়ে নাকি ঈশাটা তো কালকে রাতেই বসেছিস। তাহলে এখন আবার চিক্কস করার কি আছে?

এই যে দেখ আমি কিন্তু ক্যাজুয়ালি কথাটা বলেছিলাম কিন্তু তুই ব্যাপারটাকে দুষ্টুমীর দিকে ইঙ্গিত করছিস । পরে যদি আবার গোসল করার অবস্থা হয় তাহলে আমি দাই না । এই নানা এখন আর কোনও দুষ্টুমি নয় । আর কসুল করতে পারব না এখন।হ্যাঁ, তাহলে এটাই মনে রাখিস আর দুষ্টুমি দেখে ইঙ্গিত করবি না নইলে কিন্তু এখন কপালে শনি আছে । আচ্ছা আচ্ছা বুঝতে পেরেছি তো আমি এখন নেই শাড়িটা পরিয়ে দেয় । আমি কীভাবে শাড়ি পরাব?

আমি কি এসব পারি নাকি?

কীভাবে পড়াবে মানে ইউটিউব বিশ্বের শুনে আছে । এওটিও দেখে দেখে আমাকে শাড়ি পরিয়ে দাও । আয় এদিকে আয় আমি পড়িয়ে দিচ্ছি । তারপর স্বামী সূচ্যের কোমরের পেটিকোটের ফিতা ধরে টেনে সূচিকে নিজের কাছে নিয়ে আসল । তারপর ইউটিউব দেখে দেখে সূচীকে শাড়ি পরিয়ে দিল স্বামী স্বামীর এরকম কর্মকাণ্ড দেখে সচিব অনেক মজা পাচ্ছিল ।

সত্যি বলতে সূচী জানে কীভাবে শাড়ি পরতে হয়। শুধু শাড়ির কুচিটা।যে ধরতে পারে না তবুও স্বামীর হাতে শাড়ি পরার জন্য সূচী মিথ্যা কথা বলল। ঠিক বিয়ের পরের দিন স্বামীর সাথে এরকম রোম্যান্টিক সময় কাটানোর স্বপ্ন কোন মেয়ে না দেখে সূচিও নিজের স্বামীর সাথে এরকম রোমান্টিক সময় কাটানোর জন্যই মিথ্যা বলল।কিন্তু অবশেষে যখন দেখতে পেল যে স্বামী কিছুতেই শাড়ি পরাতে পারছে না। কিন্তু এদিকে ওদের এখন ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তখন সূচী বাধ্য হয়ে স্বামীর হাত থেকে শাড়ি কুচিটা টান দিয়ে নিয়ে নিল ।

  তারপর নিজে করে শাড়ির কুচি ভাজ করতে লাগল । ভাঁজ করে সূচী স্বামীকে বলল । বলত কোথাকার এতক্ষণ লাগে  শাড়ি পরাতে । তো আমি কি জীবনে কাউকে শাড়ি পরিয়েছি যে আমি এত সহজে শাড়ি পরাতে পারব । হয়েছে হয়েছে। এখন এই কচিগুলো নীচে বসে  করে টান দাও । ওমা টান দিবো কেন টান দিলে তো খুলে যাবে । আরে গাধা খুলে যাওয়ার মতো ছুঁড়ে ছুঁড়ে টান দিবে কেন আস্তে আস্তে শুধু টান দিয়ে শাড়ির কুঁচি টাকে সোজা করবে । ও আচ্ছা ঠিক আছে এই যে দেখো এবার হয়েছে । মোটামুটি হয়েছে একেবারে আহামরি। সুন্দর হয়নি ।

একেবারে আহামরি সুন্দর আমার লাগবেও না।  প্রিয় বউ চলো এবার বাইরে চলো এখনও যদি বাইরে না যায় তাহলে ওরা সবাই বলবে যে বাসর ঘর থেকে দুজনে বেরোতেই চাইছি না। এটা তো সত্যি কথা।  আমি তো সত্যিই বাশ্বর ঘর থেকে বের হতে চাইছি না।সূচি দেখ তুই যদি এরকম দুষ্টুমির ইঙ্গিত দেশ পরে কিন্তু নিজেই বিপদে পড়বে । সরি সরি আমার মনে ছিল না চল চল। আমরা দুজন নিচে যাই।আবার তুই করে বলছিস।তো কী করব বল তুই নিজেও তো তুই করেই বলছিস।ওহ হ্যাঁ, তাই তো আচ্ছা ঠিক আছে চলো আমরা দুজনে নিচে যাই । 

তারপর স্বামীর সূচীর হাত ধরে নিজেদের ঘর থেকে বের হয়ে নিচে গিয়ে সবার সাথে বসল। নিচে যাওয়ার সাথে সাথেই সূচীদের ভাবি সম্পর্কিত। যত মহিলারা আছেন সবাই এসে সূচিকে নিয়ে গেল।আর এদিকে স্বামী বসে রইল ভাই আর বন্ধুদের মাঝে স্বামীর বন্ধুরা স্বামীকে নিয়ে অনেক মজা নিল। বাসরের পরের দিন বলে কথা কেউ কি?

আর এসময় নতুন দম্পতির সাথে মজা করা নিয়ে কোনও রকম ছাড় দেয়। সবাই মিলে বেশ খুশিতেই ওদের এই দিনটা কেটে গেল।তারপর বেশ কিছুদিন ওদের হাসিখুশিতে কাটতে লাগল। একদিন স্বামী সূচিকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে গেল বাইকের উপর বসে ছিল স্বামী আর সূচি স্বামীর পিঠে মাথা দিয়ে সচিব চোখ বন্ধ করে বাইকের বাতাস গায়ে লাগাচ্ছিল।এমন সময়ে স্বামী সূচিকে বলল । কিরে শোছে তুই কি ঘুমে গেলে।আরে না ঘুমায়নি আমি শুধু চোখ বন্ধ করে আছি। বাইকের বাতাসের চোখটা বন্ধ করে রাখতে ভাল লাগছে আমার । খেয়াল রাখিস আবার ঘুমিয়ে পড়েস না যেন তাহলে কিন্তু পড়ে যাবে । পড়ে গেলেই বা কী হবে বলো। কিছু হওয়ার আগেই তো তুমি পাগল হয়ে যাবে।সূচি রাস্তায় উঠে কিন্তু এসব কথা বলতে নেই। গাড়ি ঘোড়া রাস্তা কখন কি হয়ে যায়?

আল্লাহ জানেন।আর ইচ্ছা কিছু হবে না। আল্লাহ যদি কপালে না রাখেন তাহলে অ্যাক্সিডেন্ট কখনও হবে না।সেটা সবাই জানে। কিন্তু রাস্তায় ওঠে এসব অ্যাক্সিডেন্টের কথা মুখে আনতে নেই। তাহলে নিজের কাছেই নিজের আতঙ্কটা বাড়তে থাকে। আর হুট করেই অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়।আমি এসব মানি না যা হওয়ার তা তো হবেই। তাহলে বললে সমস্যা কী?

ধুর তোর সাথে প্যাঁচাল পাড়াটাই আমার ভুল।এখন বল তুই কি এখন বাসায় যাবি নাকি আরও ঘুরবি।না আগে চল একটু নদীর পাড় থেকে হেঁটে আসি। কথাটা শেষ করার আগেই সূচীদের বাইকটা এক্সিডেন্ট করল। সূচি যখন কথা বলছিল তখন স্বামীর পুরো মনোযোগটাই ছিল সূচির দিকে। তাই কখন যে হুট করে সামনে থেকে  অটো চলে আসছে সেটা স্বামী খেয়াল করতে পারেনি। খেয়াল করতে না পারায় কথা বলতে থাকার সময়ে ওদের। এক্সিডেন্ট হয়ে গেল স্বামী আগেই শচীকে সাবধান করেছিল যেন একসিডেন্টের কথা বলে নিজেদের মনোযোগ নষ্ট না করে রাস্তায় মনোযোগ না দিয়ে গাড়ি চালালে এভাবেই অমনোযোগী হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। এজন্য স্বামী বারবার সুচির কথাগুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এখনও আর কি লাভ?

ওদের এভাবে হুট করে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যাওয়াতে স্বামী অনেক ভয় পেয়ে গেল। সূচিত অ্যাক্সিডেন্টের জায়গাতেই জ্ঞান হারিয়েছে । আর স্বামীর পা অনেকটুকু কেটে গিয়ে রক্ত পড়ছে। স্বামী নিজের দিকে খেয়াল না করে সূচির জন্য হাউমাউ করে কাঁদছে ।  সূচির কিছু হয়ে গেলে স্বামী কখনই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না । অবশেষে একজন লোক এসে ওদেরকে হসপিটালে নিয়ে গেল।তারপর ডাক্তাররা সূচীকে নিয়ে গিয়ে  ইঞ্জেকশন দিল। আর স্বামীর কাঁটা জায়গাতেও ড্রেসিং করে দিল। স্বামীর ড্রেসিং করা শেষ হলে স্বামী গিয়ে সুচির পাশে বসে পড়ল। সূচিকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে । সুচি এখন ঘুমাচ্ছে সূচীর তেমন কোন জায়গা কাটেনি কিন্তু।হাতের দিকে বেশ কিছুটা জায়গার চামড়া উঠে গেছে। সেদিন প্রায় 2 ঘণ্টা পরে সূচীর গান ফিরেছিল।

তারপর সেদিন রাতে ওরা দুজন নিজেদের বাসায় গেছে । ওরা বাসে যাওয়ার পর ওদের দুজনের এই অবস্থা দেখে সুচির মতো অনেক ভয় পেয়ে গেছিলো। কিন্তু তারপর স্বামী সবাইকে সাবলে নিয়ে ব্যাপারটা ধামাচাপা দিয়েছে। তারপর স্বামী সূচীকে নিয়ে ঘরে গেল গিয়ে সুচিকে বলল । এখানে বস আস্তে আস্তে বসবে।আমার পায়ে ত্যাথা নেই। তাই আমার বসতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু তোর তো পা কেটে গেছে। তাই তোকে আমার এত কেয়ার করতে হবে না। আগে নিজে আসতে এসে এখানে বস। ছেলেদের 1000 ব্যথা লাগলেও তারা তাদের ব্যথা কখনও কারো সামনে প্রকাশ করে না। ছেলেরা সবসময় স্ট্রং হয়।ইস তখন সে কেন আমি এত কথা বলছিলাম আমি এত কথা না বললে তোর মনোযোগ অন্যদিকে যেত না আর না আজকে এরকম এক্সিডেন্ট হতো।যা হয়ে গেছে তা তো আর বদলানো যাবে না তাই না?

তাই এসব নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই। তুই এখানে বসে রিস্ট কর।তুইও আমার সাথে বস আমি তোর বুকে মাথা রেখে একটু ঘুমাব । আচ্ছা দাঁড়া আমি আসছি।তারপর স্বামী গিয়ে এক বোতল পানি এনে ওদের বিছানার পাশের টেবিলে রাখল। তারপর গিয়ে সূচীর পাশে শুয়ে পড়ল সূচিও। স্বামীর বুকে মাথায় রেখে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেল। আসলে বাইক অথবা যে কোনও রকম যানবাহনে ওঠে। ড্রাইভারের সামনে বারবার অ্যাক্সিডেন্টের কথা বলে।তার ভেতরের ভয়টা বেড়ে যায়। আর সে অমনোযোগী হয়ে পড়ে। অমনোযোগী হয়ে পড়াতে হুট করেই অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত রাস্তাঘাটে চলার সময় সব সময় সাবধানে থাকা আর ড্রাইভারের মনোযোগ কোনওভাবেই নষ্ট না করা।গল্পটি কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। দেখা হবে আবারও নতুন কোনও গল্প নিয়ে সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top