Bangla chotigolpo আল্প বয়সি বিধবা মেয়ের বাস্তব জীবন কাহিনি

বিধবা মেয়ের প্রেমের চটি গল্প

আমার নাম রূপালী। আমার বয়স 19 বছর। আমার বিয়ের মাত্র চার মাসের মধ্যেই আমার স্বামী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। আমার স্বামী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার ছয় মাস পরে আমার বাবা মা আমাকে নিতে আসেন। কিন্তু আমি তাদের সাথে যাইনি। কারণ আমি তাদের উপর বোঝা হতে চাইনি। আমাদের বাড়ির অবস্থা ভালো ছিল না। বাবা আমাকে অনেক কষ্টে বিয়ে দিয়েছিলেন। আমার শ্বশুরবাড়ি অনেক ধনী।

আমার শাশুড়ি দুই ছেলে এক মেয়ে। আমার স্বামীর থেকে তার ভাই দুই বছরের ছোট। স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি চেয়েছিলাম আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর ছোট ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিক।তাই তার মন জয় করার জন্য বাড়ির সব কাজ করতাম এবং রাতে আমি ঘুমানোর আগে শাশুড়ির শরীরটা চেপে দিতাম। যতটা সম্ভব শাশুড়ির সেবা করতাম আমি। তাঁকে কখনও আমার উপর বিরক্ত হবার সুযোগ দিইনি আমি। কারণ আমি চাইতাম। তিনি আর একবার আমাকে তার পুত্রবধূ বানিয়ে নিতে।

এক ননদ ছিল যে বিবাহিত এবং সে অনেক কমে বাড়িতে আসত। কেননা আমার শাশুড়ি তার বিয়ে অনেক ধনী পরিবারের দিয়েছিলেন। তাই সে বেশির ভাগই সময় তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকত এবং সুখী জীবন কাটাচ্ছিল তার শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু যখনই আমার ননদ আসত আমি তার অনেক যত্ন করতাম তার পছন্দের সব খাবার রান্না করতাম এবং তার বেবিদের ও অনেক আদর করতাম।

এতে আমার শাশুড়ি অনেক খুশি হতেন। বিয়ের প্রথম দিন থেকেই আমি তার সাথে অনেক ভাল ব্যবহার করেছি এবং তিনি খুশি হয়ে আমাকে অনেক আশীর্বাদ করতেন। আর বলতেন, আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। আমার দ্বিতীয় পুত্রবধূ যেন তোমার মতো হয়। আর আমাকে বলতেন যে তুমি আমার কাছে আমার মেয়ের মতো তুমি যেভাবে আমার সেবা করো নিজের মেয়ে ও তার মায়ের এমন সেবা করতে পারে না।

আমি আমার শাশুড়ির মন যেভাবেই হোক জয় করতে চাইতাম। আমাদের বাড়িতে শাশুড়ি কথাই শেষ কথা। সবকিছু তাঁর নির্দেশেই হত। তার সম্মতি ছাড়া বাড়ির এক পাতাও পড়তে পারত না। যদি কাউকে তার খারাপ মনে হত তাহলে এই বাড়ির কেউ তার নাম পর্যন্ত বলতেন না। কারণ আমার শাশুড়ি অনেক রাগী মহিলা শাশুড়ি আমার উপর অনেক খুশি । তাই আমার বিশ্বাস ছিল যে তিনি আমাকে তার ছোট ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন।

আমার স্বামী ছোট ভাই আমেরিকায় ডাক্তারি পড়ছে তার ফিরে আসা আর মাত্র তিন মাস বাকি। এবং আমি মনে মনে অনেক খুশি ছিলাম যে আবার এই বাড়িটা আমার হবে।আর আমি এই বাড়ির মালকিন হবো। কারণ আমি সারাজীবন দারিদ্রের মধ্যে কাটিয়েছি।আর এখানে এসে জানতে পেরেছি যে জীবনের সুখী জিনিস তাই আমি এই বিলাসিতা হারাতে চাই না। আমার শ্বশুরবাড়ি অনেক ধনী। তাঁদের অনেক জমি আছে যা তারা তাদের বাপ দাদাদের কাছ থেকে বংশ পরম্পরায় পেয়েছেন। এরা বংশ পরম পোলায় ধোনি হয় আমার স্বামীর ছোট ভাই ও দেখতে অনেক সুন্দর এবং স্মার্ট।

আমি যদি বাবার বাড়িতে চলে যেতাম তাহলে সারা জীবন কীভাবে একা কাটাতাম। কে তাঁর গরিব এবং ছেড়ে দেওয়া মেয়েকে বিয়ে করবে। তাই আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যে আমার শাশুড়ি যেন তার ছোট ছেলের সাথে আমার বিয়ে দেন। আমারও কি ভাগ্য যখন আমার বিয়ে হয় তখন আমি অনেক খুশি ছিলাম যে আমার বিয়ে এক বলক বাড়িতে হচ্ছে। এতদিন আমি অভাবের মধ্যে মানুষ হয়েছি। এখন আর অভাবের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে না। কিন্তু ভগবান আমার এই সূক্ষ্ম মাসের মধ্যে কেড়ে নিলেন ও মাসের মধ্যেই আমি একা হয়ে গেলাম । এখন আমি আমার স্বামীর ছোট ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়ে এই বাড়িতেই আরামে থাকতে চাইতাম। শাশুড়ির মতো সব বাড়িতে কর্তৃত্ব নিজের হাতে চাইতাম । আমি জানতাম এটা একমাত্র সম্ভব আমার স্বামীর ছোট ভাই আমাকে বিয়ে করলেন ।

কারণ আমার শাশুড়ি ছেলের অনেক বাধ্য ছিলেন। তিনি প্রতিটি বিষয়ে তার ছোট ছেলের সাথে পরামর্শ করে করতেন। আমার স্বামী ছোটবেলা থেকেই অসুস্থ ছিল।ছোটবেলায় এই দুর্বলতা তার শরীরে বড় হওয়া পর্যন্ত থেকে যায়। সে দেখতে রোগা পাতলা এবং কালো। তাই তো আমার মতো গরিব মেয়ের বিয়ে এত ধনী পরিবারের হয়েছে। তবু আমি আমার স্বামীর সাথে সুখী জীবন যাপন করতে চাইতাম। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে সুখ দেয়নি। তিনি আমাকে ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেলেন। যদিও আমরা গরিব। কিন্তু আমার বাবা যদি জানতেন যে আমার স্বামীর এমন রোগ আছে যে সে ছোটবেলা থেকেই অসুস্থ তাহলে আমার বাবা কখনও তাঁর মেয়েকে এই বাড়িতে বিয়ে দিতেন না । আমার বাবা এই কথাটি জানতেন না। তাই আমার শাশুড়ি যখন আমার বাবাকে আমার বিয়ে কথা বলেছিলেন তখন আমার বাবা রাজি হয়ে যান।

আর এইভাবে আমি বাড়িতে আসি। কেবলমাত্র তিন মাস সুখেছিলাম তার পরে হঠাৎ আমার স্বামীর শরীর খারাপ হল। আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য টাকা জলের মতো ঢেলেছেন। এমনকী চিকিৎসার জন্য তাকে অন্য দেশে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে সময় খুব বেশি ছিল না। কিছুদিনের মধ্যেই নিয়ে পৃথিবীর ছেড়ে চলে যান। আমার স্বামী মৃত্যুর পরে আমি এক বছর ধরে সুশাশুড়ি এবং আমার স্বামীর বকুনি সেবা করছি ।

কিন্তু সেদিন আবার অনেক খারাপ মনে হল যেদিন আমার শাশুড়ি বললেন যে আমি আমার ছোট ছেলের জন্য মেয়ে খুঁজছি যাতে তাকে বিয়ে দিতে পারি। আমি মনে মনে ভাবলাম যদি তাদের সামনে দিনরাত অনেক কাজ করি যদি তাদের সেবা যত্ন ঠিকমতো করতে থাকি তাহলে হয়তো আমার শাশুড়ি খুশি হয়। আমাকে তার ছোট ছেলের বউ বানাবেন। কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনি যে আমার সমস্ত পরিশ্রম এবং আশা বিথা যাবে।

একদিন আমি এবং শাশুড়ি খুব নামকরা এক তান্ত্রিক বাবার কাছে গিয়েছিলাম। না জানি কতদিন ধরে আমার শাশুড়ি এই বাবার কাছে আসছিলেন। তিনি প্রতি সোমবার বাবার কাছে আসতেন এবং তার আশীর্বাদ নিতেন। আমরা সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথে গরিব মানুষের লাইনে বসে এক অন্ধ মেয়েকে দেখে আমার শাশুড়ির মনে হয় ও প্রতি অনেক করোনা হয়েছিল। তাই তিনি গিয়ে ওর কাছে বসে ওকে জিজ্ঞেস করতে থাকলেন। তোমার কি কোনও অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে?
তুমি এখানে কী করছ আর কোথায় থাকো?

আমার শাশুড়ি এমন ভাবে কথা বললেন যেন তাকে অনেকদিন ধরেই চেনেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে কেন আমার শাশুড়ি এক গরিব মেয়ের কাছে গিয়ে বসলেন এবং কীভাবে তাকে চেনেন। আমার শাশুড়ি তার কাছে ক্ষমা চাইছিলেন। আর বলছিলেন, মা আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার সাথে আমার বাড়িতে চল। অন্ধ মেয়েটিকে খুব রাগী দেখাচ্ছিল। সে আমার শাশুড়িকে বলতে থাকো, আমি কখনোই আপনার সাথে যাব না। আমার যা হয়েছে তা আপনার জন্যই হয়েছে। সেই জন্যই আমি আপনাকে কখনই ক্ষমা করতে পারব না।

আমার শাশুড়ি কাঁদতে কাঁদতে তার কাছে ক্ষমা চাইছিলেন এবং তাকে বলেছিলেন যে, তুমি যেমনটি চাইতে এখন ঠিক তেমনটি হবে তোমার মনের যা কিছু ইচ্ছা তা পূরণ হবে। তুমি শুধু আমার সাথে চলো আমার শাশুড়ি অন্ধ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। আমি যখন শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলাম না কেন একে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন । আর এই মেয়েটিকে ।

তখন আমার শাশুড়ি আমাকে শুধু বললেন যে আমি ওকে আমার ছোট ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো । শাশুড়ির কথা শুনে আমার পায়ের তলায় মাটি সরে গেল। কারণ আমি যত স্বপ্ন দেখেছি সব ভেঙে শেষ হয়ে যেতে দেখতে পাচ্ছি। শাশুড়ির কথায় অনেক অবাক হলাম যে তিনি কীভাবে এক অন্ধ মেয়েকে বিয়ে তার ডাক্তার ছেলের সাথে দিতে পারেন। আমার মনে হচ্ছিল যে আমার স্বামী ছোট ভাই একে দেখার সাথে সাথে না করে দেবে। কারণ সে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে তার পছন্দ অনেক হাই ফাই হবে। সে কীভাবে এক অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করবে?

আমি তো শাশুড়ির ভাবনা চিন্তা দেখে অবাক হলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই আমার স্বামীর ছোট ভাই দেশে ফিরে এল আর শাশুড়ি বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন। সেই অন্ধ মেয়েটি এখনই বাড়িতেই থাকে। শাশুড়ি তাকে থাকতে আলাদা ঘর দিয়েছেন। সে আমাদের সাথে অনেক কমই কথা বলে। বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকত। শাশুড়ি তার ঘরে খাবার দিয়ে আসতেন। শাশুড়ি আমার স্বামীর ছোট ভাইকে বিয়ের কথা জানালেন। আমার স্বামীর ছোট ভাই আনন্দের সাথে বিয়েতে রাজি হয়ে গেল। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে রোহিত কী ভাবে বিয়ের জন্য রাজি হতে পারে। ও কীভাবে এক অন্ধ মেয়েকে পছন্দ করল?
তার পরে আবার ভাবলাম আমার শাশুড়ি হয়তো রোহিতকে বলেনি যে সে তার জন্য যে মেয়ে ঠিক করেছে সে অন্ধ। আমি চেষ্টা করছিলাম কোনও ভাবে আমার স্বামীর ছোট ভাইকে এই কথা জানাতে একদিন সুযোগ পেয়ে রোহিতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। রোহিত তোমার মা তোমাকে এক অন্ধ এর সাথে দিয়ে দিতে চায়।

আমার কথা শুনে রোহিত আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলল বৌদি চিন্তা করো না মায়ের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তিনি আমার সাথে খারাপ কিছু করবেন না। আমি মাথা নিচু করে চুপ হয়ে গেলাম। বিয়ের সময় আমার স্বামী ছোট ভাই মেয়েটিকে দেখে এমন খুশি হল যেন সে এত খুশি আগে কখনও পায়নি তার খুশি দেখে অবাক হয়ে গেলাম যে আমার স্বামী ছোট ভাই এত খুশি কেন?

একটি অন্ধ মেয়ে তার বউ হতে যাচ্ছে। তারপরেও সে এত খুশি। আমার অবাক হওয়ার পালা কিছুতেই কম ছিল না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে আমার স্বামী ছোট ভাইয়ের বিয়ের সেই অন্ধ মেয়ের সাথে হয়ে গেল। আর আমার চোখের সামনে দিয়ে সে তার স্ত্রীর হাত ধরে ঘরে চলে গেল। এখন পর্যন্ত আমার দেখা সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। শাশুড়ি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এখন থেকে তোমার স্বামী ছোট ভাই আর তোমার স্বামীর বউয়ের সমস্ত দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে। কারণ তোমার স্বামী ছোট ভাইয়ের অন্ধ।

তাই তার খাওয়া দাওয়া থেকে তার সব দায়িত্ব তোমার উপরে দিলাম। আমার এই কথাটা একদমই পছন্দ হয়নি যে প্রথমে তো শাশুড়ির সেবা করতাম। এখন শাশুড়ি আবার আমার স্বামী ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাজের দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে দিয়েছেন। আমি সাহস করে শাশুড়ির সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং তার রুমে গেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি আমাকে নিয়ে কী ভাবছেন?
আর কতদিন আমাকে এভাবে তাদের বাড়ির কাজের মেয়ে বানিয়ে রাখবেন?

প্রথমে তো শুধু আপনি ছিলেন। এখন তো আপনি একটি অন্ধ মেয়েকে আমার মাথার উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন। আপনি আমার স্বামীর মা তাই আমি মনেপ্রাণে আপনাকে সেবা করতাম কিন্তু আমি সেই অন্ধ মেয়ের দায়িত্ব নিতে পারব না। আমার শাশুড়ি আমাকে বললেন, এখানে এসে আমার কাছে বসো। আমি তোমাকে বলছি মেয়েটিকে। এখন আমার শাশুড়িকেও মতেও পছন্দ হচ্ছিল না। আমার মন চাইছে না তার কাছে যাই মনে হচ্ছিল এই মুহূর্তে এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যায়। কারণ আমার সমস্ত উদ্দেশ্য শেষ হয়ে গেছে। এখন আর তাদের কথা শুনে আমার কি লাভ?

কিন্তু বাধ্য হয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম। শাশুড়ি বলতে শুরু করলেন সেই সময় রোহিত আমেরিকায় যায়নি। আর এই মেয়েটির নাম জ্যোতি। আমাদের এলাকায় থাকত। রোহিত এবং জ্যোতি একে অপরকে ভালোবাসত। রোহিত আমাকে অনেকবার বলেছিল তার বিয়ের কথা নিয়ে জ্যোতিদের বাড়িতে যেতে। কিন্তু ওরা আমাদের চেয়ে গরিব। আর আমি রোহিতের বিয়ে খুব ধনী পরিবারে দিতে চাইতাম। রোহিত আমাকে অনেকবার বলেছে যে ভালোবাসার কাছে টাকার কোনও মূল্য নেই। কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। আমি মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তাদের বলেছিলাম, তোমার মেয়েকে বলে আমার ছেলের থেকে দূরে থাকতে। আমি জানি তোমাদের চোখ আমার ধন সম্পদের দিকে।

সেই জন্যই তোমরা তোমাদের মেয়েকে দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁদে ফেলেছ। কিন্তু তোমরা যা চাও তা মোটেও হবে না।আমি কিছুতেই এটা হতে দেবো না। জ্যোতির্মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলেছিল যে, আমরা আমাদের মেয়েকে এরকম কিছুই বলিনি। আমরা গরিব কিন্তু আমাদের মান সম্মান আছে। আপনি এখানে এসে এরকম কথা বললে আমাদের মান সম্মান ধুলোয় মিশে যাবে। ভগবানের দোহাই দয়া করে এখান থেকে চলে যান।

সেই মহিলা আমাকে বলেছিলেন, আজকের পর আমি আমার মেয়েকে আপনার ছেলের সাথে চলাফেরা করতে দেব না। আপনি নিশ্চিত হয়ে বাড়িতে যান। আমি যখন তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কথা শোনাচ্ছিলাম তখন বাইরে অনেক লোক জড়ো হয়। আশেপাশের সবাই এরকম কথা জানতে পেরে যায়। গরিব মেয়েটির মা লজ্জার কাদ ছিলেন। আমি বাড়িতে ফিরে আসার পর রোহিত আমার সাথে মোটেও কথা বলছিল না।আমি তাকে খাবার খেতে দেখলাম কিন্তু সে খাবার খেতে চাইল না। রোহিতের এই অবস্থা আমি আর মেনে নিতে পারছিলাম না। কারণ আগে কখনও এমন হয়নি যে রোহিত আমার সাথে কথা বলেনি এবং আমার কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। রোহিত অনেক বাধ্য ছিল। আমায় একবার ডাকাতে ছুটে আসত। আর এখন এসব হচ্ছে। কারণ মেয়েটি তাকে ফোন করে সব বলে দিয়েছে যে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে সব গ্রামের সামনে তার বাবা মাকে অপমান করেছি। পরের দিন সকালে রোহিত যখন বাইরে যাচ্ছিল আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় যাচ্ছ?

সে আমাকে বলল যে জ্যোতির সাথে দেখা করতে। আমি তাকে অনেক নিষেধ করলাম। তাঁকে বললাম যে, আমি তাকে কখনওই গরিব বাড়ির মেয়ের সাথে বিয়ে দেব না। ওদের চোখ শুধু আমাদের সম্পদের দিকে যা তুমি দেখতে পাচ্ছ না। আমার এসব কথা শুনে উ রোহিত বাইরে চলে গেল সে আমার কথার কোনও উত্তর দিল না। কিছুক্ষণ পরে যখন সে ফিরে এল তখন সে জোরে জোরে কাঁদছিল। আর রুমে গিয়ে সেখানে রাখা সব কিছু ভেঙে দিল। মনে হচ্ছিল যেন ওর মাথায় পাগলামি ভূত চেতেছে। আমি ওর রুমের দরজায় নখ দিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর না দিয়ে রুমের ভিতরে থাকল। সারাদিন খাবার খেলনা আমি রোহিতের এই অবস্থা মোটেও নিতে পারছিলাম না আমি।

কারণ আমি তার মা। আমি তাঁকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসতাম।বড় ছেলে আগে থেকেই অসুস্থ। কিন্তু আমি আমার এই ছেলেকেও হারাতে চাইনি। আমি মেয়েটিকে ফ্যামিলি সহ শহর থেকে বের করে দিতে চাই। কারণ আমার মনে হচ্ছিল যে, তারা যদি এখান থেকে চলে যায় তবে রোগীদের সাথে মেয়েটির যোগাযোগ থাকবে না। এর পরে ধীরে ধীরে তাকে ভুলে যাবে এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রোহিত রুম থেকে বের হয়নি। আমি আবার মেয়েটির বাড়িতে যাই এবং মেয়েটির বাবা মাকে বলি যে আপনারা এই শহর ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যান। বিনিময়ে তোমরা যত টাকা চাইবে আমি দেব শুধু আপনার মেয়েকে বলুন আমার ছেলেকে জীবন থেকে সরে যেতে তখনই যদি ঘর থেকে বের হয়ে এসে আমাকে বলতে থাকল আপনি নিশ্চিত থাকুন আমি কখনই আপনার ছেলের সাথে দেখা করব না।

রোহিত কালো আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু আমি তাকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে তার সাথে সম্পর্ক সারা জীবন শেষ করে দিয়েছি। যদি আমাকে বলল আমরা আপনাদের টাকা চাই না। আমরা আগেই ভেবে নিয়েছি যে আমরা এই শহর ছেড়ে আজ রাতেই চলে যাব। আপনার ছেলেকে আমাদের পিছনে না নিতে এবং আমাদের শান্তিতে থাকতে দিতে বলবেন। আপনার ছেলে আমার পিছনে পড়েছিল। সে আমাকে সব সময় বলত যে আমি বিয়ে করলে শুধু তোমাকেই করব। কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি তোমাকে কখনও বিয়ে করব না। কারণ আমি জানতাম যে এমন কিছু হবে। কারণ আপনাদের চোখে টাকা আর টাকার জোরে ক্ষমতা এবং খ্যাতি আপনাদের প্রিয় আপনার ছেলে কিসের সুখী হবে তাতে আপনার কিছু যায় আসে না।

আমি যতই রোগীদের থেকে দূরে থাকতাম রোহিত ততই আমার কাছে আসার চেষ্টা করত। আর তারপরে আমিও একই ভুল করলাম যে আমিও ধীরে ধীরে তার ভালোবাসা পড়তে শুরু করলাম। রোহিত আমাকে বলতো যে তুমি চিন্তা করো না। মা আমাকে অনেকে ভালোবাসেন এবং অবশ্যই আমার সুখের জন্য মেনে নেবেন। আমি দুঃখিত যে রোহিতের ধারণা এত বড় ভুল যে তার মা তার সুখের জন্য সবকিছু মেনে নেবেন। আমি জ্যোতি কে বললাম আমাকে কিছু বোঝানোর দরকার নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছি বলে বাড়িতে ফিরে দেখি। রোহিতের অবস্থা খারাপ।

আমি ভেবেছিলাম এটা কয়েক দিনের ব্যাপার। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে এবং জ্যোতিকে ভুলে যাবে। কিন্তু সেরকম কিছুই হল না । দিন দিন রোগীদের অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। সে খাওয়াদাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেয়। এরপর একদিন রোহিত অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান অবস্থাতেই জ্যোতির নাম বারবার বলছিল। সেদিন আমি বুঝতে পারলাম যদি জ্যোতির সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিতাম তাহলে আজ এই অবস্থা হত না। রোহিতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল। যেদিন রোহিতের গান ফিরল সে কাজ ছিল। আর বলছিল যে মা আমাকে জ্যোতির কাছে যেতে হবে।ভগবানের দোহাই আমাকে জ্যোতির সাথে দেখা করিয়ে দাও । আমি ওকে ছাড়া আর থাকতে পারছি না। আমি ওর সাথে দেখা করতে চাই কিন্তু নিজেই আমার সাথে দেখা করতে চায় না। আমি ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সাথে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দেয় আর ও আমাকে ছিলেন না। জানি কোথায় চলে গেছে। এখনও রোহিত জানত না যে আমি তাকে শহর থেকে চলে যেতে বলেছি। রোহিত সেই দিনের কথা বলছিল যে দিন সে জ্যোতির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। আর সেদিনই জ্যোতি শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমি রোহিতকে বুঝিয়ে বললাম, বাবা সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক তারপরে আমি নিজের মেয়ের বাড়িতে তো বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যাব। আমি তোকে কথা দিচ্ছি। জ্যোতির বিয়ে তোর সাথে দেব। ও নিশ্চয়ই কোথাও ওর আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ফিরে আসবে।

চিন্তা করিস না। মাথা নিচু করে রোহিতকে এসব কথা বললাম।এই কথা শুনে রোহিত খুশি হয়ে গেল। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই সে সুস্থ হয়ে ওঠে। বাড়িতে ফিরে রোহিত আবার জ্যোতির সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন । রোহিত আমাকে বলল, মা এখন তো তুমিও রাজি। তারপরে কেন জানি না। ওরা সবাই এই শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। আর ওদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ। আমি ওদেরকে কোথায় খুঁজব?

এলাকার অনেককে জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু কেউ জানে না ওরা কোথায় গেছে?
কিন্তু আমি রোহিতকে বলিনি যে তারা আমার কারণে শহর ছেড়েছে। কারণ তারা কোথায় গেছে তা আমিও জানি না। রোহিত ছয় মাস ধরে জ্যোতি কে খুঁজছে। কিন্তু তাকে কোথাও পেল না।অবশেষে রোহিত হতাশ হয়ে মেনে নিল যে সে আর জ্যোতিকে খুঁজে পাবে না। তার পরে রোহিত সিদ্ধান্ত নিল যে সে এই দেশ ছেড়ে চলে যাবে এবং আর কখনও ফিরে আসবে না। রোহিতের এই কথা শুনে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল। নিজের কর্মের জন্য অনেক খারাপ মনে হচ্ছে। আমি যদি ওর বিয়ের জ্যোতির সাথে দিতাম তাহলে অন্তত আমার ছেলে আমার চোখের সামনে থাকত এবং সে কখনও দেশ ছেড়ে যেত না।

আমি রোহিতকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি। আটকানোর অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে আমার কোনও কথা শোনেনি। এর পরিবর্তে আমাকে বলল যে আমি জুটিকে ছাড়া এখানে থাকতে পারব না। এখানে থাকলে আমার জ্যোতির কথা মনে পড়বে। এটা কোনও ভাবেই সম্ভব না যে আমি এই শহরে থাকব। আর যাওয়া আসার পথে জ্যোতির বাড়ির দিকে তাকালে তাঁর স্মৃতি আমাকে কষ্ট দেবে না। এখানে আমার বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এই কথা বলে রোহিত অনেক কাজ ছিল। আর আমি যা করেছি তার জন্য আমি আফসোস করছিলাম যে আমার কারণে আমি আমার ছেলের সুখ কেড়ে নিয়েছি। আমি যদি জ্যোতির সাথে তার বিয়ে দিতাম তাহলে সে আজ কত সুখী হতো। ছেলের এই অবস্থার জন্য শুধুমাত্র আমি নিজেই দায়ী। আমার কারণে আজ ওর চোখে জল। এরপর রোহিত আমেরিকা চলে যায়। কিন্তু আমি জ্যোতি কে খুঁজতে থাকি। আমি জ্যোতিষ সমস্ত আত্মীয়দের বলেছিলাম যে জ্যোতি সম্পর্কে কিছু জানতে পারলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, কেউ তাদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। তারা গেল কোথায়?

তার পরে প্রতি সোমবার আমি বাবার কাছে যেতাম যাতে কোনও না কোনও ভাবে জ্যোতির খোঁজ পেতে পারি। প্রতিদিন বাবার আশীর্বাদ নিতাম এবং বাবাকে বলতাম ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে যাতে আমার ছেলের খুশি ফিরে আসে। এরপর ঈশ্বর আমার প্রার্থনা স্বীকার করলেন। আমি জ্যোতি কে সেখানে বসে থাকতে দেখলাম। তাঁকে সেখানে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলাম এবং বাড়িতে নিয়ে এসে জানতে পেরেছিলাম যে, তারা এই শহর ছেড়ে মুম্বই শহরে যাওয়ার সময় রাতে একটি বড় অ্যাক্সিডেন্ট পরে এবং তার বাবা মা এই অ্যাক্সিডেন্টে তাকে একা ফেলে রেখে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।

মা বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে জ্যোতিষ সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় তার চোখ দুটি হারিয়ে ফেলে। এটা শুনে আমিও কাঁদতে থাকলাম। কারণ আমার জন্যই তার সাথে এসব হয়েছে। আমি তাদের এই শহর ছাড়তে বলেছিলাম। আমি যদি এটা না করতাম তাহলে তাদের সাথে এত বড় অ্যাক্সিডেন্ট হত না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম। জ্যোতির বিয়ে অবশ্যই রোহিতের সাথে দেব। রোহিত ফিরে এসে জ্যোতি কে দেখে অনেক খুশি হয়। রোহিতকে খুশি দেখে আমিও চিন্তামুক্ত হয়ে গেলাম। আমার অর্থের কোনও অভাব নেই। আমার কাছে ভগবানের দেওয়া সব কিছুই ছিল। কিন্তু আমার ছেলে যখন খুশি নয় তখন আমি এই সম্পদ দিয়ে কী করব?
আর মা আমি জানি তুমি মনে মনে কী চাইতে আর সত্যি যদি আমার ছেলের জীবনে যদি না থাকত তবে আমি তোমাকে রোহিতের স্ত্রী বানাতাম। কিন্তু আমি অসহায় তুমি যা চাও আমি তা করতে পারব না। তুমি আমার মেয়ে তুমি যেভাবে আমার সেবা করেছ ভগবান অবশ্যই এর ফল তোমাকে দেবেন। এখন তুমি যদি বিয়ে করতে চাও তাহলে আমাকে বলো তোমার জন্য ভাল সম্বন্ধ দেখে আমি তোমাকে উচ্চ পরিবারে বিয়ে দেব। কিন্তু রোহিতের সুখ শুধু জ্যোতি কে নিয়ে। সে তোমাকে নিয়ে কখনও সুখী হতে পারবে না। শাশুড়ি আমাকে আরও বললেন, আমার যত সম্পদ আছে তার অর্ধেক আমি তোমার নামে করে দেব। বাকি অর্ধেক রোহিতের। তবু তুমি যদি তোমার জীবন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাও তাহলে অবশ্যই নিতে পারো। আমি নিষেধ করব না। তুমি যা বলবে তাই হবে।

শাশুড়ির সব কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম যে আমি যা ভাবছিলাম তা কতটা ভুল। আমি পরিবারের সবার ভালোবাসা দেখতে পেতাম না। তারা চাইলে তাদের ছেলের মৃত্যুর পরে আমাকে আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তারা আমার সাথে এরকম কিছুই করেননি। বরং শাশুড়ি আমাকে তার মেয়ে বানিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন। শাশুড়ি আরও বললেন, মা আমার অসুস্থ ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে আমি তোমার জীবন নষ্ট করেছি বলে তোমার মনে কোনও কষ্ট রেখো না। আমি আমার বড় ছেলেকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়েছি। কারণ ডাক্তার আমাকে আশা দিয়েছিলেন যে আমার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানতাম না যে তার জীবনের দিনের। সব কথা শুনে আমি শাশুড়িকে বললাম যে মা এখন আমি আমার সারা জীবন আপনাদের সাথে থাকব এ বাড়িতে এত সুখপাত কখনও ভাবিনি আমি।

আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তা আমার জন্য অনেক আমি এর বেশি চাই না। আমার শাশুড়ি আমাকে ধরে বললেন যে তুমি আমার মেয়ে তুমি সব সময় আমার মেয়ে থাকবে। শ্বাশুড়ির এই কথা শুনে আমি অনেক খুশি হলাম এবং শাশুড়িকে বললাম, মা আমি রোহিত তাদের ঘরে খাবার দিতে যাচ্ছি। শাশুড়িকে আরও বললাম, এখন আপনি ওদের দুজনকে নিয়ে একটু চিন্তা করবেন না। আমি আমার স্বামীর ছোট ভাইয়ের বুকে যত্ন নেব তার চোখ নেই তো কী হয়েছে সে আমার বোনের মতো।

আমি তাকে কখনই বুঝতে দেবেন না যে সে দেখতে পায় না। শাশুড়ি আমার মাথায় হাত রেখে আমাকে আশীর্বাদ করে বললেন, মা, আমি তোমার কাছ থেকে এটাই আশা করেছিলাম। আমি যখন খাবার নিয়ে রোহিতের রুমে গেলাম তখন রোহিতের রুমে আরও তিনজন ডাক্তার বসেছিলেন এবং রোহিত তাদের সাথে জুটির সম্পর্কের কথা বলছিল যে এই সেই মেয়ে যার কথা আমি তোমাদের সব সময় বলতাম। এর নাম জ্যোতি যাকে আমি অনেক ভালবাসি। আজ ভগবানের কৃপায় আমি জুটিকে পেয়েছি। ওকে পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি তো আমার ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি আমার ভালোবাসা পেয়েছি। রোহিতের ডাক্তার বন্ধুরা যদি অনেক প্রশংসা করছিল এবং জ্যোতি প্রশংসারই যোগ্য। কারণ সে অনেক সুন্দরী। রোহিতের ডাক্তার বন্ধুরা জ্যোতিকে নিয়ে আমেরিকাতে আসতে বলল। সেখানে অপারেশন করলে জ্যোতির চোখের জ্যোতি আবার ফিরে আসবে। ও দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরে আসবে শুনে আমি অনেক খুশি হলাম। এরপর আমরা দুই বোন মিলে আনন্দের সাথে বাড়িতে থাকব।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top