আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম মনে হচ্ছিল খালা আসলে কিছুক্ষণ গল্প হবে। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেও ঘুম আসছিল না। অপেক্ষা করছিলাম কখন খালা আসবে প্রায় 1 ঘণ্টা পর কথা বলতে বলতে খালা ঘরে ঢুকলেন খালা মাকে বললেন তুই কি মাঝখানে শুয়ে থাকবি মা মৃদু হেসে বললেন না তুই মাঝখানে শুয়ে পড়। কিছুক্ষণ পর মৃদুকঞ্ছি কেউ ডাকলেন। তুই কি ঘুমিয়ে পড়েছিস?
আমি চুপচাপ রইলাম। কোন উত্তর দিলাম না। আমার নাম কুণাল।বেশ কিছুদিন ধরে খালার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হয়নি। খালা মাঝে মাঝে ফোন করতেন। কিন্তু তখন আমি মাস্টার্স ডিগ্রীর ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলাম। এখন পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং আমি একটি ভালো চাকরির খোঁজ করছি। তবে খালার সঙ্গে কাটানো মধুর মুহূর্তগুলো এখনও আমার মনে গেঁথে আছে।আমি প্রায়ই ভাবতাম খালার সঙ্গে দেখা করতে আবার কখন যাব। কারণ খালা আমাকে খুব ভালবাসেন। খালা দেখতে খুব সুন্দর। আর তিনি একটু স্বাস্থ্যবান হওয়ায় তাকে আরও সুন্দর লাগে। তার হাতে রান্না করা খাবার খাওয়ার ইচ্ছায় ঠিক করলাম। এবার খালার বাড়িতে গিয়ে কিছুদিন থাকবো। তার সঙ্গে সময় কাটাবো।অনেক গল্প করব।
অবশেষে আমার ইচ্ছা পূরণ হল একদিন খালা ফোন করে মাকে বললেন তুমি আর কুণাল পাঁচদিনের জন্য আমাদের এখানে চলে এসো তোমার জামাই তো সাত দিনের জন্য শহরের বাইরে যাচ্ছেন। অনেকদিন হয়ে গেল তোমাদের সঙ্গে দেখা হয় না। এই সুযোগে আমরা কয়েকটা দিন মজা করে কাটাতে পারব। কালকেই চলে এসো আমি অপেক্ষা করছি। ফোন স্পিকার এ রেখেছিলেন যাতে আমি কথাগুলো শুনতে পারি মায়ের নাম লিজা আর খালার নাম তানিয়া সব কথা শুনে মা বললেন, ঠিক আছে তানিয়া আমরা কালকেই আসছি ফোন রেখে মা বললেন কুণাল আমরা সকাল এগারোটার দিকে বেরোবো যাতে ঠান্ডা একটু কম লাগে।তবে আমরা বাইকে যাব। আমি হ্যাঁ বলে দিলাম, মা তার ঘরে কাপড় গুছিয়ে নিতে চলে গেলেন। আমিও আমার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। বিছানায় শুয়ে ভাবছিলাম, যদি খালা মাকে সব বলে দেন আগের দিনের কথা তাহলে কি হবে?
আর যদি মায়ের সামনে খালা আমার সঙ্গে কিছু করেন তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে?
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারলাম না। খালা আমার বন্ধু মতো ছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে খুব ফ্রি থাকতেন। পরের দিন আমি আর মা সকালবেলায় চা নাচতে সেরে তৈরি হয়ে নিলাম। ঠিক 11:00 বাজে আমরা বাইক নিয়ে রওনা হলাম। খালার গ্রামের রাস্তা প্রায় তিন ঘণ্টার ছিল। আমরা দুজনেই নিজের চিন্তায় মুগ্ণ ছিলাম। শহরের সীমানা পেরোতেই কাঁচা রাস্তা শুরু হল। বাইকের পেছনের সিটটা একটু উঁচু থাকায় মা বারবার আমার সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছিলেন। আমি মাকে বললাম, ভয় পেও না। মা আমাকে শক্ত করে ধরে রাখো। মায়ের বাইকে চড়ার অভ্যেস কম থাকায় তিনি এক হাতে আমার কাজ শক্ত করে ধরলেন এবং অন্য হাতে আমার পায়ের উপর। আঁকড়ে ধরে বসে রইলেন কাঁচা রাস্তায় প্রচুর গর্ত ছিল। আমি বাইক টা আসতে চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ একবার একটি গর্ত এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। তখন বাইকের চাকা আরেকটি গর্তে পড়ে গেল। আমরা দুজনে একটু উপরে লাফিয়ে উঠলাম। মা কোমড়ার পায়ে ব্যথা পেলেন।
মা বললেন কি ভয়ঙ্কর রাস্তা মানুষ কীভাবে বাইকে এই রাস্তায় যাতায়াত করে কে জানে।আমি বললাম, মা বৃষ্টির কারণে রাস্তার এই অবস্থা আর একটু এগোলেই ভালো রাস্তা পাবো। এভাবে রাস্তার ঝাঁকনির মধ্যে আমরা গ্রামের কাছে পৌঁছে গেলাম। দুপুর দুইটার দিকে খালার বাড়িতে পৌঁছলাম। বাইকের শব্দ শুনে খালা উঠোনে এসে হাজির হলেন আমাদের দেখে তার মুখে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠল খালা মাকে জড়িয়ে ধরলেন। মমতাকে শক্ত করে আলিঙ্গন করলেন। দুজনেই একে অপরের খবর নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। অনেকদিন পর তাদের দেখা হল। এরপর মা বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন। খালামাকে জড়িয়ে ধরে বললেন কীরে দুষ্টু এতদিন হয়ে গেল আসার নাম নেই। আর তুই এত সাজগোজ করে কেমন করে এলি এবার তোর মাকে সব বলতেই হবে। তোর বিয়ের কথাও বলতে হবে যাতে তাড়াতাড়ি তোর বিয়ে হয়। আমি একটু দূরে সরে গিয়ে বললাম, এসব কি বলছো?
খালা খালা হেসে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন। আমিও বাইক থেকে ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
মারখালা তখন রান্না ঘরে গল্প করছিলেন। আমি ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে কাপড় বদলানোর পর বড় ঘরে গিয়ে বসলাম। এদিকে মার খেলার ডাইনিং টেবিলে খাবারের প্লেট সাজাচ্ছিলেন। হঠাৎ খালা আমাকে ডেকে বললেন, এসো খেতে বসো আমি তাদের সঙ্গে বসে খাবার খেতে শুরু করলাম। খাবার সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। মজা করতে করতে খাওয়া শেষ হল। তখন মা বললেন, তানিয়া কি বলবো তোকে রাস্তায় একটুটাই খারাপ ছিল যে বাইকে ধাক্কা খেতে খেতে আমার।আমরা শরীর ব্যথা হয়ে গেছে।
পুরো শরীরটাই যেন ব্যথায় ভরে গেছে। এখন তো কিছু কর। আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ছি। খালার কথা শুনে বললেন কোন চিন্তা করিস না। কুণাল খুব ভালো মালিশ করতে পারে। একবার আমারও শরীর খুব ব্যথা করছিল। তখনও আমাকে মালিশ করেছিল। তারপর পুরো শরীরটা একদম হালকা লাগছিল। এত কথা বলে খালামাকে চোখ মেরে বললেন কুণাল তোর মায়ের শরীরটা ব্যথা করছে। মালিশ করে দে পরে আরাম পাবে।আমি সম্মতি জানিয়ে ঘরে চলে গেলাম কিন্তু মনে মনে ভাবতে লাগলাম। খালা কেন বললেন যে আমি ভালো মালিশ করি। সত্যিই কি তিনি মজা করছিলেন নাকি তার কোন পরিকল্পনা আছে খালারে এই আচরণের পেছনে কি উদ্দেশ্য ছিল তা ভাবতে ভাবতে অস্থিরতা বাড়ছিল। খালার মা তখন রান্নাঘরে পরিষ্কার করছিলেন আমি দূর থেকে তাদের দিকে নজর রাখছিলাম।তাদের দেখতে একই রকম সুন্দর লাগছিল। ধীরে ধীরে তাঁরা কথা বলছিলেন। তবে আমি কিছুই শুনতে পারছিলাম না কেন জানি মনে হচ্ছিল তারা আমার কথাই বলছিলেন।
কিছুক্ষণ পর তারা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে বড় ঘরে বসে পড়লেন। তখন বেলা 4:00 খালা বললেন, লিজা, তুই একটু কাপড় বদলে নে গাউন এনেছিস। যদি না আনিস তাহলে আমারটা নেই। গলাস পানি খেয়ে শুয়ে পড় কোণাল তো শুরুরটা মালিশ করে দেবে যাতে তোর ব্যথা কমে যায়। এতটুকু বলে তারা নিজেদের ঘরে চলে গেলেন। আমি বসে বসে ভাবছিলাম জীবনে কখনো এমন ধরনের কাজ করিনি। কিছুক্ষণ পর খালার রান্নাঘর থেকে পাত্রের তেল নিয়ে এলেন। বললেন, চল সময় হয়েছে। আমি কিছু না বলে চুপচাপ তার পেছনে শোবার ঘরে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি মা বিছানায় শুয়ে আছেন মায়ের পা এবং শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। কারণ বাইকে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন মাকে দেখে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে রইলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম খালামার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন খালা হেসে বললেন কি দেখছিস কুনাল আগে কক্ষনো তোর মাকে দেখোনি তোর মাকে একটু তেল দিয়ে মালিশ কর।
কষ্ট হচ্ছে কারণ মাকে সুস্থ করতে হবে। মা মুখটা একটু ঘুরিয়ে নিলেন। এরপর খালা একটু দূরে শুয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলেন। কেমন লাগছে লিজা মা বললেন, এখন কিছুটা ভালো লাগছে তানিয়া তুই থাকায় আজ একটু ভিন্ন কিছু করলাম। খালা মায়ের মাথায় হালকা চাপ দিয়ে বললেন, এত বাচ্চা সুলভ কথা বলছিস কেন কুণাল তো পাশেই রয়েছে মা একটু লজ্জা পেয়ে হেসে বললেন আর কথা বারাস না।না হলে পুরো ব্যাপারটার নাটকের মতো হয়ে যাবে। এরপর মা আমাকে বললেন, কুণাল বেশ আরাম হচ্ছে আর বেশি মালিশ করার দরকার নেই। শরীরটা এখন বেশ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে ব্যথা কিছুটা কমে গেছে।তবু আমি আর কিছুক্ষণ মালিশ করে দিলাম। প্রায় আধ ঘণ্টা পর মা শান্ত গলায় বললেন, এবার যথেষ্ট হয়েছে। কুণাল অনেক স্বস্তি লাগছে। আমি উঠে দাঁড়ালাম। তখন মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। মা হঠাৎ পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন খালাই সে বললেন, আরে লিজা এখনও তো কিছু অংশ বাকি আছে। মা একটু লজ্জা পেয়ে বললেন, থাক তানিয়া কুণালের সামনে এটা করতে একটু অস্বস্তি লাগছে।
মালিশ শেষ হওয়ার পর মা বেশ ভাল বোধ করতে লাগলেন। আমরা সবাই বাইরে এসে একটু বিশ্রাম নিলাম। এরপর খালা আমাদের একে বললেন কুণাল অনেকদিন হয়ে গেল চল ভেতরে যাই।আমি রাজি হয়ে ভেতরে গেলাম। সেখানে আমরা সবাই মিলে খেতে বসলাম। খাওয়ার সময় খালা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। তাহলে কুণাল মায়ের মালিশ করে কেমন লাগল আমি হেসে বললাম, প্রথমে একটু অস্বস্তি হচ্ছিল কিন্তু তোমার কথায় সাহস করে করলাম। খালা হেসে বললেন, দেখেছ মা এখন অনেকটা ভালো আছে। আমি বললাম, হ্যাঁ, এটা তোমার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
খালা হেসে বললেন। তাহলে পরেরবার আর একটু ভালোভাবে করিস যাতে তাঁর ব্যথা দ্রুত সেরে যায়। পারবি তো আমি মৃদু হেসে বললাম, ঠিক আছে, আমিও চাই মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। খালা তখন শান্ত স্বরে বললেন, চিন্তা করিস না আমার চোখ হঠাৎ আলমারির আয়নার দিকে গেল দেখি দরজার কাছে মা দাঁড়িয়ে আছেন। তবে খালা সেটা খেয়াল করেননি। আমি ভান করলাম যেন কিছুই দেখেনি। এরপর আমরা ঘরে ফেরলাম। তখন বিকেল 4:00 খালা বললেন, কুণাল বাইরে যেতে চাইলে আগে চা খেয়ে যা মা হেসে বললেন, হ্যাঁ, তানিয়া চা বানাও একটু গরম চা এখন বেশ ভালো হবে। তবে তোমার কি ঠান্ডা লাগে না?
মায়ের গলায় মজার সুর ছিল খালা মায়ের ইঙ্গিতটা বুঝি হাসলেন। তারপর উত্তর দিলেন আরে লিজা আমাদের তো ঠান্ডার সাথে অভ্যেস হয়ে গেছে তোমাদের শহরে কি এমন ঠান্ডা হয়?
এটা বলে খালা রান্নাঘরে গিয়ে চা বানাতে লাগলেন।কিছুক্ষণ পর চা বানিয়ে আনলেন। আর আমরা তিনজন একসঙ্গে চা খেলাম। চা খাওয়ার পর আমি মাকে বললাম, মা, আমি একটু বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি। মা বললেন, হ্যাঁ। যা একটু ঘুরে আয় তবে বেশি দেরি করিস না। তাড়াতাড়ি ফিরে আয়। আমি মাথা নেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়লাম। হাঁটতে হাঁটতে নদীর ধারে চলে গেলাম মনটা একদম শান্ত হয়ে গেল ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগছিল। আর আমি নানা বিষয়ে চিন্তা করতে শুরু করলাম। কিছুদিন আগের ঘটনাগুলো ভাবছিলাম খালার সাথে শেয়ার করার কথাগুলো কি মা কিছু জানেন?
মা কিছু বলেননি ঠিকই।তবে সবকিছু কি স্বাভাবিক?
মাথায় অনেক প্রশ্ন ভুটছিল এসব চিন্তা নিয়েই নদীর ধারে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ালাম। তখন বাইরে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছিল। আর ঠান্ডা বাতাসও বেড়ে গিয়েছিল।ধীরে ধীরে বাড়ির পথের আওনা দিলাম। বাড়ি পৌঁছাতে রাত প্রায় 8:00 গেল। ভেতরে ঢুকে দেখি মা আর খালা রান্নাঘরে রাতের খাবার তৈরি করছেন। আমাকে দেখে মা মিষ্টি গলায় বললেন, আয় কুণাল আগে গরম পানিতে হাতমুখ ধুয়েবে। তারপর খেতে বস।প্রায় রাত নয়টা নাগাদ আমরা সবাই একসঙ্গে খেতে বসলাম। খাওয়ার সময় আমি খালাকে বললাম খালা এখানে ঠান্ডাটা অনেক দেশি। আমাদের ওখানে এমন ঠান্ডা হয় না।
খালা মুচকি হেসে বললেন, চিন্তা করিস না। আমার বাড়িতে হিটার আছে তোকে ঠান্ডা লাগবে না। আমি বললাম সত্যি তাহলে ঠিক আছে। আজ একটু আগে ঘুমাব। বেশ ক্লান্ত লাগছে। খালার কথা শুনে মা মজা করে বললেন তুই এত ছোট তোর আবার কি ক্লান্তি খালা হেসে বললেন আরে লিজা এত পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে তার ওপর রাস্তার এমন অবস্থা। আমরা সবাই গল্প করতে করতে খাওয়া শেষ করলাম।
তারপর মা আর খালা রান্নাঘর পরিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।আমি একটু বাইরে হাঁটতে গেলাম। কিছুক্ষণ পরে শোবার ঘরে গিয়ে দেখি ঘরটি আগে থেকেই গোছানো বিছানায় একটি বড় কম্বল পাতা ছিল যা দুজনের জন্য যথেষ্ট। আমি কাপড় পরিবর্তন করে কম্বলের নীচে ঢুকে শুয়ে পড়লাম।
কিন্তু মাথায় নানা চিন্তা ঘুরছিল। হঠাৎ শুনি মা রখালা কথা বলতে বলতে ঘরে ঢুকলেন খালা মাকে বললেন।তুই কি মাঝখানে শুবি মা হেসে উত্তর দিলেন না রে তুই শুইস আমি পাশে শোবো তাদের কথোপকথন চলতে থাকল আর আমি চুপচাপ শুয়ে রইলাম তাদের কথাগুলো শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম টের পাইনি সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি মা রান্না ঘরে চা বানাচ্ছেন। পাশে খালা বসে আছেন ঘরের পরিবেশটা কিছুটা অন্যরকম লাগছিল।
মা আমাকে দেখে মৃদু হেসে বললেন, চা খাবে আমি সম্মতি জানালাম। মায়ের সেই হাসির মধ্যে অভিজ্ঞতা আর স্নেহের ছোঁয়া ছিল যেন। তিনি পুরো পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরভাবে সামলে নিয়েছেন।খালার বাড়িতে আমরা বেশ কিছুদিন থাকলাম। হাসি ঠাট্টার মধ্যে সময় কেটেছে খালা আর মা অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু বিদায়ের দিনে এসে গেল মা খালার দিকে তাকিয়ে বললেন, আচ্ছা তানিয়া আমাদের এখন চলে যাওয়া উচিত অনেক কাজ বাকি আছে বাড়িতে খালা মুচকি হেসে বললেন, ঠিক আছে তোমরা যাও।
আমার স্বামী ফিরে আসার সময় হয়ে গেছে। বিদায়ের সময় পুরো পরিবেশটা হালকা হয়ে গেল। মা শান্ত স্বরে আমাকে বললেন, কুণাল জীবনের সব কিছুর সীমা থাকে সঠিক আর ভুলের পার্থক্য করা খুব জরুরি। মায়ের এই কথাগুলো আমার মনে গভীর ভাবে দাগ কাটল সেই মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম। জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাব। খালারবাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে আমি নতুনভাবে জীবন শুরু করলাম। এখন আমি আরও আত্মবিশ্বাসী মায়ের স্নেহ আর তার মনের গভীরতা আমাকে জীবনের নতুন দিশা দেখিয়েছে। গল্পটি কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না।